১২ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২৯শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ |
  • প্রচ্ছদ
  • জাতীয় >> রাজনীতি
  • সুনামগঞ্জ হাওড়ে আটক ৩৪ জন শিবির ক্যাডারকে বুয়েট থেকে বহিষ্কারের দাবিতে মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের ২৪ ঘন্টার আলটিমেটাম
  • সুনামগঞ্জ হাওড়ে আটক ৩৪ জন শিবির ক্যাডারকে বুয়েট থেকে বহিষ্কারের দাবিতে মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের ২৪ ঘন্টার আলটিমেটাম

    মুক্তি কন্ঠ

    মুক্তিকন্ঠ ডেস্ক :

    বুয়েটে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার, বুয়েট শিক্ষার্থী ইমতিয়াজ রাব্বীর হলের সিট বাতিলের সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবি জানানোর পাশাপাশি সুনামগঞ্জ টাঙ্গুয়ার হাওড়ে রাষ্ট্রবিরোধী গোপন বৈঠকের অপরাধে আটক ৩৪ জন শিবির ক্যাডারকে বুয়েট থেকে দ্রুত স্থায়ী বহিষ্কার ও দৃষ্টান্তমূলক আইনগত শাস্তির দাবিতে আজ ৩১ মার্চ রবিবার বিকাল ৪টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশে শেষে বুয়েট প্রশাসনকে ২৪ ঘন্টার আলটিমেটাম দিয়েছে মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ। সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক আল মামুন এর সঞ্চালনায় উক্ত কর্মসূচীতে সভাপতিত্ব করেন
    সংগঠনের সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল। আরোও বক্তব্য রাখেন সংগঠনের উপদেষ্টা ভাস্কর্য শিল্পী রাশা, অনলাইন এক্টিভিস্ট ফোরামের আহবায়ক কবীর চৌধুরী তন্ময়, সুপ্রীম কোর্টের আইনজীবী এ্যাড. এইউজেড প্রিন্সসহ প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।

    মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশের বক্তব্যে সংগঠনের সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল বলেন “সুনামগঞ্জ টাঙ্গুয়ার হাওড়ে রাষ্ট্রবিরোধী গোপন বৈঠকের অপরাধে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে আটক ৩৪ জন শিবির ক্যাডারকে বুয়েট থেকে আগামী ২৪ ঘন্টা মধ্যে স্থায়ী বহিষ্কার ও দৃষ্টান্তমূলক আইনগত শাস্তি দিতে হবে। অন্যথায় বুয়েটের প্রশাসনিক কার্যালয় ঘেরাও কর্মসূচী দিবে মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ। সুনামগঞ্জের স্থানীয় জামাতের আমির ও ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় কমিটি প্রেস বিজ্ঞপ্তি দিয়ে এই ৩৪ জন শিবির ক্যাডারের মুক্তির দাবি করেছিল। এসব শিবিরের ক্যাডাররা জামিনে বের হয়ে এসে আবার বুয়েটকে অস্থিতিশীল করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে। অবিলম্বে এদেরকে গ্রেফতার করে বুয়েট থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করতে হবে। বুয়েট প্রশাসন দাবি না মানলে বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও প্রজন্মরা বুয়েটে মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের কমিটি দিয়ে কঠোর আন্দোলনের মাধ্যমে বুয়েট প্রশাসনকে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করতে বাধ্য করবে। বুয়েটকে জামাত-শিবির ও জঙ্গীদের অভয়ারণ্য হতে দিবে না মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ। বুয়েট শিক্ষার্থী ইমতিয়াজ রাব্বীর হলের সিট অন্যায় ভাবে বাতিল করার অযৌক্তিক সিদ্ধান্ত অবিলম্বে প্রত্যাহার করতে হবে।”

    সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক আল মামুন বলেন, “সুনামগঞ্জের হাওড়ে রাষ্ট্রবিরোধী গোপন বৈঠকের অপরাধে আটক ৩৪ জন বুয়েটের শিবির ক্যাডাররা পরিকল্পিত ভাবে ২০২২ সালে বুয়েটে ছাত্রলীগের সাবেক নেতৃবৃন্দ কর্তৃক আয়োজিত ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবসের আলোচনা সভায় উদ্দেশ্যেপ্রণোদিত ভাবে বাঁধা দিয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে অবমাননা করেছিল। এখনও এদের বিচার হয়নি। জাতির পিতার শাহাদাত বার্ষিকীর আলোচনা সভায় বাঁধা প্রদানকারী ৩৪ জন শিবির ক্যাডারকে আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে বুয়েট থেকে স্থায়ী বহিষ্কার নিশ্চিত করাসহ বুয়েটে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধের স্বৈরতান্ত্রিক সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবি জানাচ্ছে মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ। অন্যথায় বুয়েটের প্রশাসনিক কার্যালয় ঘেরাও করবে মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ। জাতির পিতার শাহাদাত বার্ষিকীর আলোচনা সভায় বাঁধা প্রদানকারীরা কখনোই বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাস করে না। এদের ভিন্ন উদ্দেশ্য রয়েছে। বঙ্গবন্ধু মানেই বাংলাদেশ। যে প্রতিষ্ঠানে জাতির পিতাকে অবমাননা করা হয় সেই প্রতিষ্ঠান কারা চালায়। বুয়েট প্রশাসনের মুখোশ ইতিমধ্যে জাতির সামনে উন্মোচিত হয়েছে। শোকাবহ আগস্টে এরা অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে বঙ্গবন্ধুকে অবমাননা করেছে কিন্তু বিচার হয়নি। নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন ছাত্রশিবিরের ক্যাডাররা জাতীয় শোক দিবসের আলোচনা সভায় বাঁধা দিয়ে লাখো শহীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত সংবিধানকে লঙ্ঘন করেছে। এদেরকে দ্রুত চিহ্নিত করে বহিষ্কারসহ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও প্রজন্মদের জন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ভর্তির ক্ষেত্রে ৫ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটা বুয়েটে অনুসরণ করা হয় না। বারবার বলার পরেও বুয়েট প্রশাসন নীরব ভূমিকা পালনের মধ্যে দিয়ে তাদের প্রকৃত চরিত্র জাতির সামনে উন্মোচিত করেছে। বুয়েটে স্বৈরশাসক আইয়ুব খানের ১৯৬২ সালের পাকিস্তানি অধ্যাদেশ বাতিল করে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় নতুন আইন প্রণয়ন করে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধের স্বৈরতান্ত্রিক সিদ্ধান্ত বাতিল করতে হবে। এই অধ্যাদেশের মাধ্যমে বুয়েট প্রশাসন কর্তৃক ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত সম্পূর্ণ অযৌক্তিক, ভিত্তিহীন ও সংবিধান পরিপন্থী। বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ এহেন স্বৈরতান্ত্রিক সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছে। বারবার দাবি করা সত্ত্বেও বুয়েট প্রশাসন কেন কর্ণপাত করছেন না যা এদেশের ছাত্রসমাজ কখনোই মেনে নিবে না। প্রকৃতপক্ষে এধরণের সিদ্ধান্ত দ্বারা বুয়েটে প্রতিক্রিয়াশীল জামাত-শিবির-জঙ্গিগোষ্ঠীর এজেন্ডা বাস্তবায়ন করা হয়েছে। ইতিমধ্যে বুয়েটে নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন হিযবুত তাহরীর ও জামাত-শিবিরের সন্ত্রাসীদের অভয়ারণ্যে পরিণত হয়েছে। তার সুস্পষ্ট প্রমাণ হচ্ছে, সাম্প্রতিক ছাত্রলীগের শীর্ষ নেতাদের প্রবেশ ইস্যু ও গতবছর জাতীয় শোক দিবসের কর্মসূচীতে জামাত-শিবিরের প্রকাশ্য বাঁধা প্রদান। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নিজ হাতে গড়া সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। বাংলাদেশের সকল গণতান্ত্রিক আন্দোলন সংগ্রামে নেতৃত্ব দিয়েছে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। মহান মুক্তিযুদ্ধে ছাত্রলীগের হাজার হাজার নেতাকর্মী নিজের জীবন দিয়ে ছিনিয়ে এনেছে এদেশের লাল সবুজের পতাকা। বুয়েটে প্রতিক্রিয়াশীল ছাত্রদল ও শিবিরের কমিটি থাকতে পারলে কেন প্রগতিশীল ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগের কমিটি থাকতে পারবে না? বুয়েট প্রশাসনকে অবশ্যই এধরনের পক্ষপাতমূলক আচরণের জবাব দিতে হবে। স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তি ও মৌলবাদী সংগঠন ছাত্রশিবিরকে নিষিদ্ধ করে মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তির সংগঠনগুলোকে বুয়েটে রাজনীতি করার সর্বোচ্চ সুযোগ নিশ্চিত করতে করার দাবি জানাচ্ছে বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ।”

    অনলাইন এক্টিভিস্ট ফোরামের আহবায়ক কবীর চৌধুরী তন্ময় বলেন, “বুয়েট শিক্ষার্থী আরিফ রায়হান দ্বীপকে নির্মমভাবে কুপিয়ে হত্যা করেছিল স্বাধীনতা বিরোধী জামাত-শিবিরের জঙ্গি ক্যাডাররা। কিন্তু তখন বুয়েট প্রশাসন ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নেয়নি। আরেক বুয়েট শিক্ষার্থী সনিকে ক্যাম্পাসে প্রকাশ্য গুলি করে হত্যা বিএনপি সরকারের ছাত্র সংগঠন ছাত্রদলের ক্যাডাররা। তখনও বুয়েট প্রশাসন নীরব ভূমিকা পালন করেছে। হঠাৎ কেনো তারা বুয়েটে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত নিলো? তারা কি বুয়েটে জামাত-শিবির-জঙ্গিদের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতে চায়? সকল প্রগতিশীল ছাত্র সংগঠনের রাজনীতি চর্চা বন্ধ করে প্রতিক্রিয়াশীল গোষ্ঠী জামাত-শিবিরের রাজনীতি করার সুযোগ দেয়ার জন্যেই এরকম সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে আমরা মনে করি। কিছুদিন আগে ছাত্রশিবির ও ছাত্রদল বুয়েটে কমিটি দিয়েছে। এবিষয়ে বুয়েট নীরব কেন? বুয়েট প্রশাসনকে অবশ্যই জবাব দিতে হবে।জামাত-শিবির জঙ্গি সংগঠনগুলো সবসময় রাজনীতি করে অন্ধকারে। বুয়েট প্রশাসন এসব প্রতিক্রিয়াশীল গোষ্ঠীকে প্রকাশ্য রাজনীতি করার সুযোগ করে দিয়েছে। ভবিষ্যতে এরা আবার রগকাটার রাজনীতি শুরু করবে। মুক্তমনা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী শিক্ষার্থীদের হত্যা করার পথ সুগম করে দিয়েছে বুয়েট প্রশাসন। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিরোধী জামাত-শিবির-জঙ্গিরা এতোদিন প্রকাশ্য রাজনীতি করার সুযোগ পেতো না। এখন তারা প্রকাশ্য খুন ও রগকাটার রাজনীতি শুরু করার পরিকল্পনা শুরু করেছে। হলগুলোকে জামাত-শিবিরের অভয়ারণ্য পরিণত করার ষড়যন্ত্র চলছে। বুয়েটে সুকৌশলে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নিজ হাতে গড়া সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগকে ধ্বংস করার জন্য গভীর চক্রান্ত চলছে।”

    সংগঠনের উপদেষ্টা ভাস্কর্য শিল্পী রাশা বলেন, “বুয়েট এখনও পাকিস্তানী অধ্যাদেশে পরিচালিত হচ্ছে। ১৯৬২ সালে পূর্ব পাকিস্তান প্রকৌশল ও কারিগরী বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে বুয়েটের যাত্রা শুরু। তৎকালীন সময়ে দেশ ছিল স্বাধিকারের দাবিতে উত্তাল। ফলে স্বৈরশাসক আইয়ুব সরকার তার নীলনকশার আলোকে বুয়েট বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে রূপান্তর করলেও ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ রাখে। এমনকি মিছিল-সমাবেশসহ অনেক অনেক ছোট ছোট বিষয়ও নিষিদ্ধ করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের হাতে দেওয়া হয়েছিল নিরঙ্কুশ ক্ষমতা। এরপর দেশ স্বাধীন হলে সরকারি চারটি বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনার জন্য ১৯৭৩ সালে আলাদা আইন হয়। ইঞ্জিনিয়ারিং ও কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য আলাদা আইন করার কথা ছিলো। কিন্তু ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মধ্যে দিয়ে সেই উদ্যোগ থমকে যায়। এরপর পেরিয়ে গেছে দীর্ঘসময়। সেই আইন আর হয়ে ওঠেনি। ১৯৭৫ থেকে ২০১৯। কখনো শুনিনি কোথাও উচ্চারিত হয়েছে বুয়েটের পাকিস্তানী অধ্যাদেশ সংশোধনের দাবি। দীর্ঘদিন ধরে মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তি ক্ষমতায় থাকার পরেও পাকিস্তানি অধ্যাদেশে চলা বুয়েট থেকে কখনোই পাকিস্তানী ভূত নামেনি। কয়েকবার গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছিলো বুয়েটে অধিকাংশ সময় ওড়েনা জাতীয় পতাকা। বিভিন্ন হল ও ইনস্টিটিউটের সামনে পতাকার স্ট্যান্ড থাকলেও সেখানে পতাকা ওড়েনা। ১৯৬২ সালের পাকিস্তানি ভাবধারার অধ্যাদেশ বাংলাদেশের সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। সংবিধানে সভা ও সমাবেশ করার অনুমতি রয়েছে। কিন্তু বুয়েট প্রশাসন এদেশের সংবিধানকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে পাকিস্তানী ভাবধারায় পরিচালিত হয়ে আসছে। বারবার দাবি করা সত্ত্বেও আজও পর্যন্ত সরকার কোন উদ্যোগ গ্রহণ করেনি। বুয়েট প্রশাসনের নিকট দাবি, অবিলম্বে বুয়েট শিক্ষার্থী ইমতিয়াজ রাব্বীর হলের সিট অন্যায় ভাবে বাতিল করার অযৌক্তিক সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করতে হবে। বিগত ২০২২ সালে বুয়েটে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে অবমাননার সাথে জড়িত সুনামগঞ্জের হাওড়ে আটক ৩৪ জন শিবির ক্যাডারের ছাত্রত্ব বাতিল করতে হবে। বিভিন্ন গণমাধ্যম ও সিসি টিভির ফুটেজ দেখে বাকীদের চিহ্নিত করে বুয়েট থেকে আজীবনের জন্য বহিষ্কারসহ আইনের আওতায় এনে কঠোর শাস্তি দিতে হবে। স্বৈরশাসক আইয়ুব খানের ১৯৬২ সালের পাকিস্তানী অধ্যাদেশ বাতিল করে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বুয়েট পরিচালনা করার জন্য নতুন অধ্যাদেশ প্রণয়ন করতে হবে। অবিলম্বে বুয়েটে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধের ঘোষণা প্রত্যাহার করতে হবে। বুয়েট ছাত্রশিবির কমিটির সকল জঙ্গি এবং এদের লালন-পালনকারী জড়িত শিক্ষকদের চিহ্নিত করে বহিষ্কারসহ আইনের আওতায় এনে বিচার করতে হবে। অন্যথায় বুয়েট ঘেরাওসহ কঠোর কর্মসূচী ঘোষণা করবে বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ।”