১০ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২৭শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ |
  • প্রচ্ছদ
  • আর্ন্তজাতিক >> বিনোদন >> ভ্রমন
  • মোংলা বন্দরে নোঙ্গর করেছে ভারতীয় প্রমোদতরী ‘গঙ্গা বিলাস’
  • মোংলা বন্দরে নোঙ্গর করেছে ভারতীয় প্রমোদতরী ‘গঙ্গা বিলাস’

    মুক্তি কন্ঠ

    মোংলা বন্দরে নোঙ্গর করেছে ভারতীয় প্রমোদতরী ‘গঙ্গা বিলাস’। আজ শনিবার দুপুরে সুইজারল্যান্ডের ২৭ জন এবং জার্মানির ১ জন পর্যটক নিয়ে বন্দরের ৬ নম্বর জেটিতে ভেড়ে। তাদের স্বাগত জানান বাংলাদেশের নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ। এ সময় বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা ও মোংলা বন্দরের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল মীর এরশাদ আলীসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

    গঙ্গা বিলাসের পর্যটকদের স্বাগত জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ বলেন, বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় রক্ত দিয়ে তৈরি। ৫০ বছর ধরে এ সম্পর্ক বিদ্যমান। বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য, শিক্ষা-সংস্কৃতিসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে সম্পর্ক রয়েছে। গঙ্গা বিলাসের সফরের মাধ্যমে এ সম্পর্ক পশ্চিমা দেশে পৌঁছে গেছে। জাহাজটি যখন বাংলাদেশের সীমানা ছাড়িয়ে যাবে তখন বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ককে ছাড়িয়ে আরো রঙিন করে দেবে।

    গঙ্গা বিলাশের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিতে নিয়োজিত রয়েছে কোস্ট গার্ড ও ট্যুরিস্ট পুলিশ। ট্যুরিস্ট পুলিশের খুলনা রিজনের পুলিশ সুপার আনসার উদ্দিন বলেন, বিদেশি পর্যটকেরা যে সকল স্থান পরিদর্শন করবেন এবং অবস্থান করবেন- সে সকল স্থানের নিরাপত্তা নিশ্চিতে আমরা নিয়োজিত রয়েছি। বাংলাদেশের আতিথিয়েতা ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য দেখে নিজেদের মুগ্ধতার কথা জানান পর্যটকেরা। তারা বলেন, প্রথমবারের মতো বাংলাদেশে এসে আমরা নিজেদের ভাগ্যবান মনে করছি।

    ১৯৭২ সালের ভারত-বাংলাদেশ প্রটোকল অন ইনল্যান্ড ওয়াটার ট্রানজিট অ্যান্ড ট্রেডের অধীনে গত শুক্রবার ‘গঙ্গা বিলাস’ বাংলাদেশে আসে। প্রমোদতরীটি বাংলাদেশে দুই সপ্তাহ অবস্থান করবে। গত শুক্রবার খুলনা জেলার কয়রার আংটিয়ারা বন্দরে ইমিগ্রেশন সম্পন্ন করেন পর্যটকেরা। বাংলাদেশে অবস্থানকালে সুন্দরবনসহ বাগেরহাট, বরিশাল, সোনারগাঁও, ঢাকা, টাঙ্গাইল ও সিরাজগঞ্জের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখবেন। সবশেষে চিলমারী থেকে গঙ্গা বিলাস আবার ভারতে প্রবেশ করবে।

    উল্লেখ্য, ১৩ জানুয়ারি ভারতের বারানসি থেকে যাত্রা করে গঙ্গা বিলাস। ৫১ দিনের ট্যুরে পাঁচ তারকা মানের এ প্রমোদতরীটি ভারত ও বাংলাদেশের প্রায় ৩ হাজার ২০০ কিলোমিটার পথ পারি দেবে।

    সুত্র: কালের কন্ঠ