১০ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২৭শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ |
  • প্রচ্ছদ
  • অপরাধ >> আইন আদালত >> ধর্ম
  • ব্লগার আসাদ নুরকে গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান
  • ব্লগার আসাদ নুরকে গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান

    মুক্তি কন্ঠ

     

    আসাদুজ্জামান আসাদ নুর নামে এক ব্লগারকে গ্রেপ্তারের জন্য তার বাড়িতে অভিযান চালিয়েছেন আমতলী থানা পুলিশ। কিন্তু আসাদ নুর পলাতক থাকায় পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি।

    জানা গেছে, আমতলী উপজেলার উত্তর টিয়াখালী গ্রামের তোফাজ্জেল হোসেনের পুত্র আসাদুজ্জামান আসাদ নুর। তবে ২০১৭ সালে বাড়ি ছেড়ে গিয়ে তারপর থেকে পরিবারের সঙ্গে তিনি কোনো যোগযোগ রাখেন না বলে বলে দাবি তার পরিবারের।

    অভিযোগ রয়েছে, ‘আসাদ নুর ব্লগ’ থেকে তিনি ধর্মীয় ও সর্ম্পকাতর বক্তব্যের ভিডিও সামাজিক যোগযোগ মাধ্যমে আপলোড দিচ্ছেন। এমন অভিযোগে তার বিরুদ্ধে ২০২০ ও ২০২১ সালে সাইবার ট্রাইবুনালে চট্টগ্রাম জেলার রাঙ্গুনিয়া থানায় এবং ঢাকায় পৃথক দুটি মামলা হয়। ওই মামলা দুটিতে তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি রয়েছে। গত তিন বছরেও পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি।

    জানা যায়, গত ৪ আগস্ট ‘আসাদ নুর ব্লগ’ থেকে আবারও ধর্মীয় ও স্পর্শকাতর কটূক্তি করে ভিডিও ছাড়া হয়, যা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে যায়। ব্লগটির ভিডিওর বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক সমালোচনা চলছে। এরই প্রেক্ষিতে আসাদ নুরকে গ্রেপ্তার করতে সোমবার সন্ধ্যায় তার গ্রামের বাড়িতে পুলিশ অভিযান পরিচালনা করে। কিন্তু তাকে বাড়িতে পাওয়া যায়নি।

    আসাদ নুরের পরিবারের দাবি, ২০১৭ সালে তিনি বাড়ী থেকে বের হয়ে যান। এরপর থেকে তার সাথে কোনো যোগযোগ নেই।

    স্থানীয়রা দাবি করছেন, আসাদ নুরের সাথে তার পরিবারের যোগাযোগ রয়েছে। তার দেওয়া অর্থ দিয়েই তারা জীবনযাপন করছেন। আসাদ নুর কোথায় আছে বা তার অবস্থান তারা জানেন।

    কিন্তু পুলিশি হয়রানির ভয়ে তারা সব লুকিয়ে যাচ্ছেন।
    স্থানীয়রা আরো বলেন, ২০২১ সালে আসাদ এলাকায় ফিরে এসে নিজেকে শুধরে নিয়েছেন বলে দাবি করে বাড়িতে অবস্থান নেন। কিছু দিন পরে তিনি আবার বাড়ি থেকে চলে যান।

    আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী সাখাওয়াত হোসেন তপু বলেন, আসাদুজ্জামান আসাদ নুরের বিরুদ্ধে চট্টগ্রাম জেলার রাঙ্গুনিয়া ও ঢাকায় সাইবার ট্রাইবুনালে দুটি মামলা আছে। দুটি মামলাতেই তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি রয়েছে। তাকে গ্রেপ্তার করতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত আছে।

    তথ্য সুত্র: কালের কন্ঠ