১৩ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৩০শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ |
  • প্রচ্ছদ
  • চাকরী >> সারাদেশ
  • প্রধানমন্ত্রীর সিদ্ধান্ত মেনে নেবেন জাতীয়করণ দাবীতে আন্দোলনরত শিক্ষকরা
  • প্রধানমন্ত্রীর সিদ্ধান্ত মেনে নেবেন জাতীয়করণ দাবীতে আন্দোলনরত শিক্ষকরা

    মুক্তি কন্ঠ

    শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে তেমন অগ্রগতি না হওয়ায় এখন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতের অপেক্ষায় আন্দোলনরত শিক্ষকরা।

    আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়ে আসা বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক শেখ কাওছার আহমদ বলছেন, প্রধানমন্ত্রী যে সিদ্ধান্তই দেবেন, তারা তা মেনে নেবেন।

    শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জাতীয়করণের দাবিতে বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির ব্যানারে গত ১১ জুলাই থেকে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে অবস্থান করছেন দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের কয়েক হাজার শিক্ষক। প্রেস ক্লাবের সামনের দুই পাশের সড়ক বন্ধ করে অবস্থান নেন তারা।

    আন্দোলনের নবম দিন বুধবার শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনির সঙ্গে বৈঠক করেন শিক্ষক সমিতির নেতারা। কিন্তু সেখানে কোনো সমাধান আসেনি।

    “প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বসতে পারলে তিনি আমাদের যা বলবেন আমরা তাই শুনব। কারণ তার উপর আমাদের আস্থা আছে,” বলেন বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক শেখ কাওছার আহমদ।
    বৈঠকের পর শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি বলেন, নির্বাচনের আগে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ সম্ভব নয়। তবে জাতীয়করণের বিষয়ে দুটি কমিটি করা হবে বলে জানান তিনি।

     

    ওইদিনই শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক শেখ কাওছার আহমদ বলেছিলেন, তারা তাদের দাবি নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে চান। তার আগ পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার কথাও বলেন তিনি।

    বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেস ক্লাব এলাকায় দেখা গেছে, এক পাশের সড়ক দিয়ে যানবাহন চললেও অন্য পাশের সড়ক অবরোধ করে আছেন শিক্ষকরা। শিক্ষক নেতারা অস্থায়ী মঞ্চ থেকে প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাৎ চেয়ে বক্তব্য দিচ্ছেন।

    তবে শুরুর দিকের চেয়ে সেখানে শিক্ষকদের সংখ্যা বুধবার থেকে বেশ কম দেখা গেছে।

    এ বিষয়ে শিক্ষক সমিতির নেতা শেখ কাওছার আহমদ বলেন, “অনেকেই ঢাকায় আসছেন আবার অনেকে বাড়ি চলে যান। সবারই তো পরিবার আছে। শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে ভালো কোনো সিদ্ধান্ত আসবে সেই আশায় ছিলেন সবাই।”

    প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা না হওয়া পর্যন্ত অবস্থান কর্মসূচি চলবে জানিয়ে তিনি বলেন, “আমাদের দাবির বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী পজিটিভ। এজন্য তিনি দুটি কমিটি করতে বলেছেন। আমরা দাবি করেছিলাম কমিটিতে আমাদের সংগঠনের নেতাদের অন্তর্ভুক্ত করতে কিন্তু শিক্ষামন্ত্রী সেটি করবেন না। তাহলে আমরা কার ওপর আস্থা রাখব?

    “আমরা চাই মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে যদি পাঁচ মিনিট কথা বলতে পারি তাহলে তিনি বিষয়টি বুঝবেন। তিনি জাতীয়করণের ঘোষণা দেবেন।”

    প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের পরেও জাতীয়করণের ঘোষণা না এলে অবস্থান কি হবে, এ প্রশ্নে কাওছার আহমদ বলেন, “জাতীয়করণ করা একটি লম্বা প্রক্রিয়া, এটি যতদিনে শেষ না হবে ততদিন উৎসব ভাতা ২৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে দেওয়া এবং দুই কমিটিতে শিক্ষক নেতাদের যুক্ত করার দাবি জানাব।

    “প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বসতে পারলে তিনি আমাদের যা বলবেন আমরা তাই শুনব। কারণ তার উপর আমাদের আস্থা আছে।”

    আন্দোলনরত শিক্ষকরা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতের অপেক্ষায় থাকলেও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে বৃহস্পতিবার বেলা আড়াইটা পর্যন্ত কেউ তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেননি বলে জানান কাওছার আহমদ।

    তিনি বলেন, “অবস্থান কর্মসূচির নবম দিনে আমরা শিক্ষামন্ত্রীকে পেয়েছি। আর কয়েকদিন লাগবে, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে আমরা পাব, সেই দৃঢ় বিশ্বাস আমাদের আছে।”

    জাতীয় নির্বাচনের আগে মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ সম্ভব নয় বলে শিক্ষামন্ত্রী জানালেও এটি সরকারের অবস্থান নয় বলে মনে করেন কাওছার আহমদ।

    তিনি বলেন, “নির্বাচনের আগে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী অবশ্যই একটি ঘোষণা দেবেন, যা শিক্ষামন্ত্রী জানেন না।”

    মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জাতীয়করণের আগে বিভিন্ন বিষয় পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে হবে বলে বুধবার শিক্ষক নেতাদের জানান শিক্ষামন্ত্রী।

    এ বিষয়ে কাওছার আহমদ বলেন, “কী পর্যবেক্ষণ করবেন উনি? উনার মন্ত্রণালয় থেকেই তো ৩১৭টি উচ্চ বিদ্যালয় এবং ৩৪০টি কলেজ জাতীয়করণ করা হয়েছে। কোন গবেষণায় এসব জাতীয়করণ করা হয়েছে? সেগুলো যে ফরমেটে করেছেন, সেই একই ফরমেটেই তো মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ করা যায়। নতুন করে কি গবেষণা করতে হবে? হিসাব করতে হতে পারে।”