১১ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২৮শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ |
  • প্রচ্ছদ
  • ভ্রমন >> মতামত >> স্বাস্থ্য
  • তাপমাত্রা আরও কমার সম্ভাবনা , বাড়বে শীত
  • তাপমাত্রা আরও কমার সম্ভাবনা , বাড়বে শীত

    মুক্তি কন্ঠ

    দেশের বিভিন্ন জেলায় আগামীকাল মঙ্গলবার থেকে তাপমাত্রা কমতে পারে। ফলে কয়েকটি জেলায় মৃদু শৈত্যপ্রবাহ হতে পারে। সেই সঙ্গে ঘন কুয়াশা থাকতে পারে নদী ও উপকূল তীরবর্তী জেলাগুলোতে। এদিকে গতকাল দেশের দুটি জেলায় মৃদু শৈত্যপ্রবাহ ও ঘন কুয়াশা ছিল। ঘন কুয়াশার কারণে প্রায় পাঁচ ঘণ্টা বন্ধ ছিল দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌপথ। কুয়াশার কারণে মাঝনদীতে ফেরি নোঙর করতে হয়েছে।

     

    আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে, পঞ্চগড় ও সিলেট জেলায় মৃদু শৈত্যপ্রবাহ চলছে। দুই জেলায় তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমে এসেছে। আজ সোমবার রাতের মধ্যে তাপমাত্রা আরো কিছুটা কমতে পারে, যদিও দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। ফলে শীতে আরো বাড়তে শুরু করবে। এই শীতের তীব্রতা ও ব্যপ্তি বাড়তে শুরু করবে বুধবার থেকে। চলতি সপ্তাহের শেষ নাগাদ মৃদু শৈতপ্রবাহ চলমান থাকতে পারে। কয়েক সপ্তাহ ধরেই চুয়াডাঙ্গাসহ উত্তরাঞ্চলের জেলাগুলোতে শীতের তীব্রতা চলমান রয়েছে। এসব জেলায় স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করছে।

     

    আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে, গতকাল দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল সিলেটের শ্রীমঙ্গল ও পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল টেকনাফে ২৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

    পাঁচ ঘণ্টা বন্ধ দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌপথ : দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌপথে ফের ঘন কুয়াশায় শনিবার রাত আড়াইটা থেকে গতকাল রবিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ফেরিচলাচল বন্ধ থাকে। এ সময়  যানবাহন ও যাত্রী নিয়ে একটি ফেরি মাঝনদীতে নোঙর করে ছিল। টানা সাড়ে পাঁচ ঘণ্টা ফেরি সার্ভিস বন্ধ থাকায় দৌলতদিয়া ঘাটে আটকা পড়ে যাত্রীবাহী বাস, পণ্যবাহী ট্রাকসহ দেড় শতাধিক বিভিন্ন গাড়ি। এ নিয়ে গত সাত দিনে ঘন কুয়াশায় দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌপথে প্রায় ৪১ ঘণ্টা ফেরি সার্ভিস বন্ধ থাকল। বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন সংস্থার (বিআইডব্লিউটিসি) দৌলতদিয়া ঘাট ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) মোহাম্মদ সালাউদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

     

    চুয়াডাঙ্গায় তীব্র শীত : চুয়াডাঙ্গায় তীব্র শীত অব্যাহত রয়েছে। রবিবার ভোর থেকে ছিল ঘন কুয়াশা। সূর্য উঁকি দিয়েছে দেরিতে। ছিল হিমেল বাতাস। এ কারণে শীত অনুভূত হয়েছে বেশি। শীতে নিম্ন আয়ের মানুষদের কষ্ট পেতে হয়েছে। দিনমজুররা শীত উপেক্ষা করে কাজের সন্ধানে বাইরে এসেছেন।

     

    চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, শীতজনিত রোগবালাই বেড়েছে। শিশুরা নিউমোনিয়া ও ডায়রিয়া এবং বয়স্করা ডায়রিয়া ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে হাসপাতালে আসছে। বহির্বিভাগেও রোগীর চাপ বেড়েছে।

     

     

    চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. আসাদুর রহমান খোকন জানান, এ সময় শিশুদের প্রতি বাড়তি নজরদারি রাখতে হবে। কোনো কারণে তাদের যাতে ঠাণা না লাগে সেদিকে সতর্ক থাকতে হবে। টাটকা ও গরম খাবার খাওয়াতে হবে।

     

    চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রকিবুল হাসান জানান, রবিবার সকাল ৯টায় চুয়াডাঙ্গার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৩.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঘন কুয়াশা থাকায় তাপমাত্রা কিছুটা বেড়ে গেছে।

     

    চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা তালহা জুবাইর মাসরুর জানান, বেশি শীত কিংবা বেশি গরম কোনোটাই কৃষির জন্য মঙ্গলজনক নয়। বেশি শীত ও কুয়াশায় ফসলের ক্ষতি হতে পারে।