২৪শে জুন, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১০ই আষাঢ়, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ |
  • প্রচ্ছদ
  • জাতীয়
  • উন্মুক্ত হলো ঢাকা-সুইজারল্যান্ড সরাসরি ফ্লাইটের দ্বার
  • উন্মুক্ত হলো ঢাকা-সুইজারল্যান্ড সরাসরি ফ্লাইটের দ্বার

    মুক্তি কন্ঠ

    মুক্তিকন্ঠ ডেস্ক :

    এবার ঢাকা থেকে সুইজারল্যান্ডে সরাসরি বিমান চলাচলের দ্বার উন্মোচিত হয়েছে। সম্প্রতি দেশটির সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বিমান চলাচল চুক্তি স্বাক্ষরের ফলে এই সুযোগ সৃষ্টি হয়। এর আগে গত মার্চে ইউরোপের দেশ ইতালিতে বাংলাদেশ থেকে সরাসরি ফ্লাইট চালু হয়।

    বাংলাদেশ সিভিল এভিয়েশন অথরিটি (বেবিচক) সূত্র জানায়, সুইজারল্যান্ডের সঙ্গে চুক্তি অনুযায়ী দুই দেশের মনোনীত বিমানসংস্থাগুলো সপ্তাহে ৭টি যাত্রীবাহী ও ৭টি কার্গো ফ্লাইট চালাতে পারবে। এছাড়া চুক্তিতে মনোনীত দুই দেশের বিমানসংস্থাগুলো যাতে নিজেদের ও তৃতীয় কোন দেশের বিমানসংস্থার সঙ্গে কোড শোয়ারের মাধ্যমে দুই দেশের মধ্যে ফ্লাইট চালাতে সে সুযোগও রাখা হয়েছে।

    গত ৪ জুন সুইজারল্যান্ডের বার্ন-এ বাংলাদেশ সরকার ও সুইস ফেডারেল কাউন্সিলের মধ্যে ওই চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। বাংলাদেশের পক্ষে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মফিদুর রহমান এবং সুইজারল্যান্ডের পক্ষে সুইস ফেডারেল অফিস অফ সিভিল এভিয়েশনের ডাইরেক্টর জেনারেল ক্রিশ্চিয়ান হেগনার চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।

    বেবিচকের একজন কর্মকর্তা জানান, সুইজারল্যান্ডের পক্ষ থেকে সুইস এয়ার ইন্টারন্যাশনাল ও এডেলউইস এয়ার এজি এবং বাংলাদেশ পক্ষ থেকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স, ইউ এস বাংলা এয়ার ও নভো এয়ারকে দুই দেশের মধ্যে পরিসেবা প্রদানের জন্য মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ দুই দেশের ওই পাঁচটি এয়ারলাইন্স তাদের ফ্লাইট চালাতে পারবে।

    বেবিচকের উপ পরিচালক (জনসংযোগ) মোহাম্মদ সোহেল কামরুজ্জামান জানান, ওই চুক্তিটি ছাড়াও গত ৭ জুন বেলজিয়ামের ব্রাসেলসে বাংলাদেশ ও ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের (ইইউ) মধ্যেও একটি দ্বিপাক্ষিক বিমান চলাচল চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। এই চুক্তির মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে ইইউভূক্ত দেশগলোর সঙ্গে বিমান চলাচল পরিচালনার ক্ষেত্রে একই ধরনের বিধি-বিধান প্রতিপালন নিশ্চিত করা।

    ইইউ ও বাংলাদেশ এর পক্ষে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন ইউরোপিয়ান কমিশনের ডারেক্টরেট জেনারেল ফর মবিলিটি অ্যান্ড ট্রান্সপোর্টের ডাইরেক্টর ফিলিপ কর্নেলিস এবং বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মফিদুর রহমান।

    ওই কর্মকর্তা বলেন, ২০০৯ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর দুই পক্ষের মধ্যে প্রথম একটি চুক্তি অনুস্বাক্ষরিত হয়েছিল। এরপর দুই পক্ষের নিজেদের মধ্যকার প্রক্রিয়া সম্পন্ন শেষে চুক্তিটি চূড়ান্তভাবে স্বাক্ষরিত হলো। এ ধরনের চুক্তি ইইউ হরাইজন্টাল চুক্তি নামে বহুল পরিচিত।

    চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠান দুটিতে বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব মোকাম্মেল হোসেনসহ সুইজারল্যান্ডস্থ বাংলাদেশ মিশনের কর্মকর্তা, ব্রাসেল্সে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস ও ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের বাংলাদেশ মিশনের রাষ্ট্রদূতসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

    সূত্র : কালবেলা